নিউজ ডেস্ক:
সেইদিন-
প্লাটফর্মে পা রেখে দেখলাম,
ট্রেনটি গিয়েছে চলে-
অচেনা স্টেশনে আমায় একা ফেলে!
আমি,
হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে রইলাম তাকিয়ে-
সদ্য স্টেশন ত্যাগ করা-
ট্রেনটির দিকে, বিস্ময়াভিভূত চোখ মেলে!
একসময়-
চোখ ফিরিয়ে নিতে গেলে-
রন্ধ্রেরন্ধ্রে অনুভব করলাম, বিরহের আগুনে-
কেমন নৃশংসভাবে পুড়ে ছারখার হয় প্রেমিক হৃদয়!
সেইথেকে-
একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, একাগ্রতা অথবা
পুরোপুরি মনোসংযোগ প্রদানের পন্থা-
আমি বেমালুম গিয়েছি ভুলে!
এখন-
অবনমিত রাখি দৃষ্টি,
পর্বত সমান কষ্ট বুকে জাগে-
কোনো রমণী, আবেগের চোখে তাকালে!
এখন,
কচ্ছপের মতো লুকিয়ে রাখি মুখ, বহুদিন হয়-
দীঘির কালো জলে রাখিনা চোখ!
মাথা চাড়া দেয় হারানোর ভয়, পদ্মপাতায়-
স্নিগ্ধ শিশির কণারা চিক চিক করে হাসলে!
এখন,
সূর্যোদয়ের রক্তিম আভায় মুগ্ধতা না ছড়িয়ে-
আমার শরীরে, হৃদয়ের শিরা-উপশিরায়-
দাউদাউ করে আগুন জ্বলে!
কেউ জানে না,
রেলস্টেশনে ছিন্নবস্ত্রে শীর্ণ শরীরে শুয়ে থাকা-
ভুলোমনের কার্যকরণ!
কেউ শোনে না,
ভুল করে ভুলে যাওয়া অন্যের জীবনস্মৃতি!
কেন অযাচিত ভুলোমন অযথা-
মানবশরীর করে ধারণ, করে প্রভুভক্ত প্রাণীর জীবনাচরণ!
কেউ শোনে না,
কী হারানোর বেদনায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত মন,
চতুস্পদের মতো শুয়ে থাকে-
অসমান প্লাটফর্মের বিছানায়!
কী প্রত্যাশায় দিন গুনেগুনে তাঁর বেঁচে থাকা-
একটি কোলাহলমুক্ত নিঃশ্বব্দ মৃত্যুর প্রতীক্ষায়!
সূত্র: যুগান্তর