নতুনদের নিয়ে কেউ কাজ করতে চায় না

16

নিউজ ডেস্ক: দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী, সুরকার ও সংগীত পরিচালক হৃদয় খান। কিশোর বয়স থেকেই গানের প্রতি এ আগ্রহ। অডিওর পাশাপাশি সিনেমায়ও গান করেন এ শিল্পী। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।

* সম্প্রতি আপনার নতুন গান প্রকাশিত হয়েছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

** ভালো। এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গান প্রকাশ হওয়ার একটা সুবিধা আছে। শ্রোতাদের গান কেমন লাগছে তা খুব দ্রুত বোঝা যায়। সে হিসাবে বেশ ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি।

* এখন তো সব কিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফরম বা সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক। গানের ক্ষেত্রে এ বিষয়টা আপনি কীভাবে দেখছেন?

** এটা অবশ্যই একটা ভালো দিক। শিল্পী তো বটেই, একই সঙ্গে শ্রোতাদের জন্যও। আগে একটা গানের অ্যালবামে দশ থেকে বারোটা গান দিতে হতো। পুরো একটা অ্যালবাম শেষ করতে প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস সময় লেগে যেত। কিন্তু এখন দেখছি বেশির ভাগ শিল্পী বা কম্পোজার প্রতিমাসেই গান প্রকাশ করছেন। এতে যেমন আমরা মনোযোগ দিয়ে গান তৈরি করতে পারছি, শ্রোতারা অনেক গানের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছেন না।

* তবে এখন তো মিউজিক ভিডিও নিয়েও আলাদা করে ভাবতে হয়…

** না, আমি তেমনটা ভাবি না। আমার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে এমন অনেক গান আছে যার কোনো ভিডিও নেই। আমি অডিওই প্রকাশ করি। যদি বিশেষ কোনো গান থাকে যার জন্য কোনো গল্প বা ভিজুয়্যাল আমার মাথায় আছে, শুধু তখনই ভিডিওতে মন দেই। সব গানের জন্য ভিডিও প্রয়োজন নেই।

* আপনাকে নতুনদের নিয়ে কাজ করতে দেখা যায়। কোনো বিশেষ কারণ?

** আমি যখন কাজ শুরু করছিলাম ২০০৭-২০০৮ সালের দিকে, তখন আমি দেখেছি নতুনদের জন্য কোনো প্ল্যাটফরম নেই। নতুনদের নিয়ে কেউ কাজ করতে চায় না। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই, নতুনদের নিয়ে কাজ করব। যেহেতু আমার কম্পোজিশন করতে ভালো লাগে, আমি তাদের জন্য গান কম্পোজ করব, তারা গাইবে। সেই ভাবনা থেকে ‘হৃদয় মিক্স’ অ্যালবামটা করা।

* অডিওর পাশাপাশি সিনেমার জন্যও গান করেন। দুই মাধ্যমের পার্থক্য এবং অভিজ্ঞতা কেমন?

** পার্থক্য তো আছেই। মজার বিষয় হচ্ছে আমার কখনো গায়ক হওয়ার ইচ্ছাই ছিল না। আমার প্রোডাকশন, ডিরেকশন, কম্পোজিশন খুব ভালো লাগত। সেই থেকে গানের শুরু। কিন্তু পরে দেশের বেশ কিছু জনপ্রিয় এবং গুণী শিল্পী আমাকে বললেন সিনেমার জন্যও গাইতে। তাদের কথা রাখতে গেয়েছিও। কিন্তু আমার অনেক শ্রোতাই সে সম্পর্কে জানে না। তবে এখন ভালো গল্প, ভালো গান পেলে গাইতে বেশ ভালো লাগে।

* গান তৈরির জন্য সুর নাকি কথা- কোনটি নিয়ে ভাবেন আগে?

** বিভিন্ন কম্পোজারের কাজ করার ধরন আলাদা। আমি আগে সুর নিয়ে ভাবি। সুরের ওপর ভিত্তি করে তারপর গানের লিরিক্স ঠিক করি। আমি নিজে গান লিখি না, তবে সুর মাথায় এলে তার সঙ্গে কেমন কথা যাবে তার একটা ধারণা তো আসেই। গীতিকারকে সে ধারণা থেকে সুরের ওপর কথা বসাতে বলি। তারপর ধীরে ধীরে তৈরি হয় একটা পূর্ণাঙ্গ গান।

* গানের পাশাপাশি আর কিছু করছেন?

** যেহেতু ডিরেকশন এবং প্রোডাকশন খুব ভালো লাগে, একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানিয়েছি। এটার গল্প, ভাবনা, সম্পাদনা সব আমার করা। থ্রিলারধর্মী গল্প হবে এটি। অনেকদিন ধরেই প্রকাশ করতে চাচ্ছি কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততায় হয়ে উঠছে না। এ বছরের শেষ নাগাদ অবশ্যই সিনেমাটি প্রকাশ করব।

সূত্র: যুগান্তর