এবারের এশিয়া কাপে যা কিছু সেরা

5
টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল দুই দলই। সেই পাকিস্তান ও শ্রীলংকাই মুখোমুখি হয় ফাইনালে। আর সেই মহারণে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল শ্রীলংকা। ষষ্ঠবারের মতো এশিয়া কাপ জিতল শ্রীলংকা। অথচ ফেবারিট তকমা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেনি দাসুন শানাকার দল। এ অর্জনে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সফলতম দল এখন শ্রীলংকা। রেকর্ড সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এ দুদলের বাইরে শুধু পাকিস্তান দুবার জিতেছে এশিয়া কাপ। রোববার রাতে ফাইনাল জেতার সঙ্গে পুরনো এক রেকর্ড সমৃদ্ধ করল লঙ্কানরা। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম টানা পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতল শ্রীলংকা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া জমজমাট এবারের এশিয়া কাপে সংখ্যায় যা সর্বোচ্চ - এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ১২টি ছক্কা মেরেছেন আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১টি ছক্কা ভারতের বিরাট কোহলির। এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ২৮১ রান করেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৬ রান ভারতের বিরাট কোহলির। ৬ ম্যাচে ৫৬.২০ গড়ে ১১৭.৫৭ স্ট্রাইকরেটে ২৮১ রান করেছেন রিজওয়ান। এতে তার অর্ধশতক তিনটি। আর ৫ ম্যাচে ৯২ গড়ে ১৪৭.৫৯ স্ট্রাইকরেটে ২৭৬ রান করেছেন কোহলি। এতে তার একটি শতক ও দুটি অর্ধশতক রয়েছে। টুর্নামেন্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাট থেকে। ৫ ম্যাচে তার সংগ্রহ ১৯৬। গড় ৬৫.৩৩ ও স্ট্রাইকরেট ১০৪.২৫। একটি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি। শ্রীলংকার ভানুকা রাজাপাকসে ৬ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৯১ রান করে চতুর্থ অবস্থানে। পঞ্চম স্থানে আছেন আরেক লঙ্কান ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা। ৬ ম্যাচে ২ ফিফটির সাহায্যে ১৭৩ রান করেছেন তিনি। এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ১১ উইকেট নিয়েছেন ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ উইকেট শ্রীলংকার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার। ৫ ম্যাচে ৬.০৬ ইকোনমিতে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৬ ম্যাচে ৭.৩৯ ইকোনমিতে ৯ উইকেট নিয়ে দুই নম্বরে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। টুর্নামেন্টে ৮ উইকেট নিয়ে ৩য় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ। সর্বোচ্চ ১১৯ রানের জুটি ভারতের লোকেশ রাহুল ও কোহলির। একশ ছাড়ানো জুটি আছে আর একটিই। হংকংয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের রিজওয়ান ও ফখরের ১১৬ রানের জুটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিরাট কোহলির ১২২ (নটআউট) রানের ইনিংসটিই আসরের একমাত্র সেঞ্চুরি। পাঁচ উইকেটের একমাত্র কীর্তিও এক ভারতীয়র। আফগানদের বিপক্ষে চার রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ব্যাটিংয়ে সেরা ৫ ১. মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান): ৬ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে ২৮১, সর্বোচ্চ ৭৮* ২. বিরাট কোহলি (ভারত): ৫ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি, ২ ফিফটিতে ২৭৬, সর্বোচ্চ ১২২* ৩. ইব্রাহিম জাদরান (আফগানিস্তান): ৫ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৯৬, সর্বোচ্চ ৬৪* ৪. ভানুকা রাজাপাকসে (শ্রীলঙ্কা): ৬ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৯১, সর্বোচ্চ ৭১* ৫. পাথুম নিশাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা): ৬ ম্যাচে ২ ফিফটিতে ১৭৩, সর্বোচ্চ ৫৫* বোলিংয়ে সেরা ৫ ১. ভুবনেশ্বর কুমার (ভারত): ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট, ৬.০৬ ইকোনমি, সেরা ৫/৪ ২. ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা): ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট, ৭.৩৯ ইকোনমি, সেরা ৩/২১ ৩. মোহাম্মদ নওয়াজ (পাকিস্তান): ৬ ম্যাচে ৮ উইকেট, ৫.৮৯ ইকোনমি, সেরা ৩/৫ ৪. শাদাব খান (পাকিস্তান): ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট, ৬.০৫ ইকোনমি, সেরা ৪/৮ ৫. হারিস রউফ (পাকিস্তান): ৬ ম্যাচে ৮ উইকেট, ৭.৬৫ ইকোনমি, সেরা ৩/২৯।

নিউজ ডেস্ক: টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল দুই দলই। সেই পাকিস্তান ও শ্রীলংকাই মুখোমুখি হয় ফাইনালে। আর সেই মহারণে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল শ্রীলংকা। ষষ্ঠবারের মতো এশিয়া কাপ জিতল শ্রীলংকা।

অথচ ফেবারিট তকমা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেনি দাসুন শানাকার দল।

এ অর্জনে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সফলতম দল এখন শ্রীলংকা। রেকর্ড সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এ দুদলের বাইরে শুধু পাকিস্তান দুবার জিতেছে এশিয়া কাপ।

রোববার রাতে ফাইনাল জেতার সঙ্গে পুরনো এক রেকর্ড সমৃদ্ধ করল লঙ্কানরা। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম টানা পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতল শ্রীলংকা।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া জমজমাট এবারের এশিয়া কাপে সংখ্যায় যা সর্বোচ্চ –

এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ১২টি ছক্কা মেরেছেন আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১টি ছক্কা ভারতের বিরাট কোহলির।

এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ২৮১ রান করেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৬ রান ভারতের বিরাট কোহলির।

৬ ম্যাচে ৫৬.২০ গড়ে ১১৭.৫৭ স্ট্রাইকরেটে ২৮১ রান করেছেন রিজওয়ান।  এতে তার অর্ধশতক তিনটি।  আর ৫ ম্যাচে ৯২ গড়ে ১৪৭.৫৯ স্ট্রাইকরেটে ২৭৬ রান করেছেন কোহলি।  এতে তার একটি শতক ও দুটি অর্ধশতক রয়েছে।

টুর্নামেন্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাট থেকে।   ৫ ম্যাচে তার সংগ্রহ ১৯৬।  গড় ৬৫.৩৩ ও স্ট্রাইকরেট ১০৪.২৫।  একটি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি।

শ্রীলংকার ভানুকা রাজাপাকসে ৬ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৯১ রান করে চতুর্থ অবস্থানে। পঞ্চম স্থানে আছেন আরেক লঙ্কান ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা। ৬ ম্যাচে ২ ফিফটির সাহায্যে ১৭৩ রান করেছেন তিনি।

এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ১১ উইকেট নিয়েছেন ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ উইকেট শ্রীলংকার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার।

৫ ম্যাচে ৬.০৬ ইকোনমিতে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৬ ম্যাচে ৭.৩৯ ইকোনমিতে ৯ উইকেট নিয়ে দুই নম্বরে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

টুর্নামেন্টে ৮ উইকেট নিয়ে ৩য় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ।

সর্বোচ্চ ১১৯ রানের জুটি ভারতের লোকেশ রাহুল ও কোহলির। একশ ছাড়ানো জুটি আছে আর একটিই। হংকংয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের রিজওয়ান ও ফখরের ১১৬ রানের জুটি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিরাট কোহলির ১২২ (নটআউট) রানের ইনিংসটিই আসরের একমাত্র সেঞ্চুরি। পাঁচ উইকেটের একমাত্র কীর্তিও এক ভারতীয়র। আফগানদের বিপক্ষে চার রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার।

ব্যাটিংয়ে সেরা ৫
১. মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান): ৬ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে ২৮১, সর্বোচ্চ ৭৮*
২. বিরাট কোহলি (ভারত): ৫ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি, ২ ফিফটিতে ২৭৬, সর্বোচ্চ ১২২*
৩. ইব্রাহিম জাদরান (আফগানিস্তান): ৫ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৯৬, সর্বোচ্চ ৬৪*
৪. ভানুকা রাজাপাকসে (শ্রীলঙ্কা): ৬ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৯১, সর্বোচ্চ ৭১*
৫. পাথুম নিশাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা): ৬ ম্যাচে ২ ফিফটিতে ১৭৩, সর্বোচ্চ ৫৫*

বোলিংয়ে সেরা ৫
১. ভুবনেশ্বর কুমার (ভারত): ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট, ৬.০৬ ইকোনমি, সেরা ৫/৪
২. ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা): ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট, ৭.৩৯ ইকোনমি, সেরা ৩/২১
৩. মোহাম্মদ নওয়াজ (পাকিস্তান): ৬ ম্যাচে ৮ উইকেট, ৫.৮৯ ইকোনমি, সেরা ৩/৫
৪. শাদাব খান (পাকিস্তান): ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট, ৬.০৫ ইকোনমি, সেরা ৪/৮
৫. হারিস রউফ (পাকিস্তান): ৬ ম্যাচে ৮ উইকেট, ৭.৬৫ ইকোনমি, সেরা ৩/২৯।

সূত্র: যুগান্তর