যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন ১ লাখ আক্রান্তের আশংকা

16

নিউজ ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাস প্রকট আকার ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন প্রতিদিন ৪০ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি এতোটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে যে, দেশটিতে প্রতিদিন এক লাখ করে আক্রান্তের আশংকা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে এক শুনানিতে এসব আশংকার কথা খোলাখুলিই তুলে ধরেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের পরিচালক ও হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের কর্মকর্তা ড. অ্যান্থনি ফাউসি। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

সিনেট কমিটির শুনানিতে ডা. ফাউসি বলেন, ‘আমি নির্ভুল ধারণা করতে পারব না, তবে এটি পরিষ্কার পরিস্থিতি হবে খুবই ভয়াবহ। প্রতিদিন একলাখ মানুষ আক্রান্ত হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ, গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যান পরিষ্কারভাবে বলছে মহামারি আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। আমি আতঙ্কিত যে, যথেষ্ট সংখ্যক নাগরিক মাস্ক পরছে না এবং সামাজিক দূরত্ব মানছে না।’

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৭ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ। আর প্রাণহানি ঘটেছে ১ লাখ ৩০ হাজারের। গত কয়েকদিন ধরে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। মঙ্গলবারই আক্রান্ত হয়েছে ৪০ হাজারের বেশি। এমন পরিস্থিতিতে কিছু রাজ্য লকডাউন তুলে নেওয়ার কথা বললেও ফের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

গত কয়েকদিনে নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে অর্ধেকই এসেছে মাত্র চারটি অঙ্গরাজ্য থেকে। এগুলো হচ্ছে, ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা, ফ্লোরিডা ও টেক্সাস। বিষয়টি তুলে ধরে ফাউসি বলেন, যখন দেশের একপ্রান্তে সংক্রমণ হবে, তখন অন্য প্রান্তও অরক্ষিত। যেসব এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে, শুধু সেখানে মনোনিবেশ করলে গোটা দেশই ঝুঁকিতে পড়বে।

সিনেট শুনানিতে ড. ফাউসি আরও বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপগুলোতে আমি মোটেই সন্তুষ্ট নই। আক্রান্তের সূচকের দিকে লক্ষ্য করলেই আপনারা বুঝতে পারবেন আমরা ভুল পথে রয়েছি। আর তা শুধরে নিতে আমাদের এখনই কিছু করা উচিত।