সেদিন ঢাকার আর্তনাদে কেঁপে উঠেছিল সারাবিশ্ব

31

নিউজ ডেস্ক: গুলশান-২ নম্বরের ওয়েস্টিন হোটেলের পাশে দায়িত্ব পালন করছিলেন গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন। ওয়াকিটকিতে মেসেজ এলো, ‘হলি আর্টিসানে একদল সন্ত্রাসী ঢুকেছে’। সংবাদ শুনেই একজন কনস্টেবলের বাইকে চেপে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেন এসআই ফারুক।

আর্টিসানের সীমানায় ঢুকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পায়ে গুলি লাগল তার। আহত হন তার সঙ্গে থাকা আরেক কনস্টেবল। ঘটনাস্থলে এসে এই দশা দেখে গুলশান থানায় সাহায্য চাইলেন গুলশান থানার আরেক এসআই রিপন কুমার।

সেদিনের গল্পের শুরু এখানেই। পরদিন ভোরে রক্তের গঙ্গাস্রোতে শেষ হয় সেই গল্প।

দেখতে দেখতে হলি আর্টিসান হামলার চার বছর পূর্ণ হলো আজ বুধবার। চার বছর হয়ে গেলেও বর্বর সেই হত্যাকাণ্ড এখনো মনে দাগ কাটে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় ঢুকেই জঙ্গিরা জিম্মি করে ফেলে অবস্থানরত সবাইকে। জিম্মির এ ঘটনা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে চারদিক। তবে ঘটনার ভয়াবহতা তখনো আঁচ করতে পারেনি কেউ। তবে প্রথম অভিযানেই যখন পুলিশের দুই কর্মকর্তা মারা যায় আর ২৫ পুলিশ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়, তখন বুঝতে বাকি ছিল না যে রাতটা কত ভয়াল হবে!

ভয়াবহ এ হামলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং প্রায় ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মি সংকটের ঘটনা স্তম্ভিত করেছিল পুরো জাতি, পুরো বিশ্বকে।

সেদিনের জঙ্গি হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ মোট ২২ জন নিহত হন। কয়েকবার প্রস্তুতি নিয়েও রাতে অভিযান চালায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো সদস্যদের পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ অবসান হয় জিম্মিদশার। পুলিশের অভিযানে মৃত্যু হয় হামলাকারী পাঁচ জঙ্গির।