নিউজ ডেস্ক: সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ের ৯৪ জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের সবার বিরুদ্ধে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গণমাধ্যমের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ৯৪ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। ত্রাণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে দুদক। কারো প্রতি ন্যূনতম নমনীয় হওয়ার সুযোগ নেই। দেশের সহায়-সম্বলহীন মানুষের মুখের খাবার যারা কেড়ে নিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনা মহামারীকালে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ওইসব জনপ্রতিনিধি অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির উপকারভোগীদের বঞ্চিত করেছেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পাওয়া অভিযোগ পর্যালোচনা করে ৯৪ জনের তালিকা তৈরি করেছে। দুদক মহাপরিচালক এ কে এম সোহেলের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি এই তালিকা তৈরি করেছে।
আরো জানায়, ওই ৯৪ জন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, সেগুলো হলো- প্রতারণা, কারসাজি করে সরকারি ত্রাণ আত্মসাৎ, ভুয়া মাষ্টাররোলে চাল, গম আত্মসাৎ, সরকারের দশ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের নামে কালোবাজারি, অসহায় জেলেদের ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও উপকারভোগীদের ভুয়া তালিকা তৈরি করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির খাদ্যসামগ্রী আত্মসাৎ।
জানা গেছে, ওই ৯৪ জনপ্রতিনিধির মধ্যে ৩০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৪ জন ইউপি সদস্য রয়েছেন। অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে ওইসব জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। দুর্নীতির অভিযোগে এই পর্যন্ত ২১টি মামলা করা হয়েছে। আসামিদের অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আদালতে চার্জশিট পেশের জন্য মামলাগুলোর তদন্ত চলছে।