ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপরে

14

নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধার দুই উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম। এতে জেলাজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গত ক’দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজানের ঢলে বন্যা ও নদীভাঙনের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। বন্যার আগাম বার্তায় সাধারণ মানুষও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

আজ ২৭ জুন, শনিবার জেলার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির তীব্র স্রোতে বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

প্লাবিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদবেষ্টিত নিম্নাঞ্চল ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া, খাটিয়ামারী, ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা ও যমুনা নদীবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া, পালপাড়া, চিনিরপটল, চকপাড়া, পবনতাইড়, থৈকরপাড়া, বাশহাটা, মুন্সিরহাট, গোবিন্দি, নলছিয়াসহ বিভিন্ন গ্রাম।

এছাড়াও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চণ্ডিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুর, বেলকা, হরিপুর ও শ্রীপুর গ্রামে প্রবেশ করতে শুরু করেছে পানির প্রবাহ। তিস্তা ও ঘাঘট নদীবেষ্টিত সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে।

ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি গত ১২ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান।

এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু এলাকা গতবারের বন্যার পরও তেমন সংস্কার হয়নি। ভেঙ্গে যাওয়া সড়কও রয়েছে বেহাল দশায়। বিশেষ করে সাঘাটা ও ফুলছড়িতে পরিস্থিতি অনেক নাজুক। করোনা মহামারীর এই সময়ে আগাম বন্যার শঙ্কায় উৎকণ্ঠিত সাধারণ মানুষ।

পুরো শুকনো মৌসুম পানি উন্নয়ন বোর্ড হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও বর্ষা মৌসুমে তাদের সংস্কার কাজের তোড়জোড় শুরু হয় বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তবে বন্যা মোকাবেলায় কাজ চলছে বলে দাবি করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোতে মেরামতের কাজ শুরু করেছি।’

বাকি আরো যেসব ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ আছে সেগুলো মেরামতের কাজ শুরু হচ্ছে বলেও জানান তিনি।