নিউজ ডেস্ক: চাকরি নেই, বেকার ! রাগে তাই দু চারটে কথা শুনিয়েছিলেন মা ৷ রাগে তাই মাকেই নৃশংসভাবে খুন করলো ছেলে ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ৷ পরে হত্যাকারী ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, পরিকল্পনা করেই মাকে হত্যা করে ছেলে। তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্ত ছেলেকে ধরে ফেলে স্নিফার ডগ ৷ এর জেরেই মাত্র ২৪ ঘণ্টায় খুনের বিস্তারিত সামনে আসে।
গোয়ালিয়রের মেওয়াতি এলাকার বাসিন্দা রেনুকে বুধবার রাতে নৃশংসভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করা হয়। প্রথমে তাঁর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয় ৷ এর জেরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ বাড়ির দোতলায় ঘুমিয়েছিলেন রেনু দেবীর ছেলে জীতেন্দ্র ৷ তিনি সকাল বেলা নীচে নেমে মায়ের মৃতদেহ দেখেন ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ৷ বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল ৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান যে আশপাশের কোনও ব্যক্তি এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে ৷ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জীতেন্দ্র জানিয়েছিলেন, তিনি স্ত্রীর সঙ্গে উপরের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন ৷ কিন্তু মধ্যরাতে কোনও আওয়াজ বা চিৎকার তারা শুনতে পায়নি ৷
এরপর ফরেন্সিক টিমের সঙ্গে পুলিশ ডগ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ ঘটনাস্থল দেখার পর স্নিফার ডগ জীতেন্দ্রের হাত কামড়ে ধরে ৷ জীতেন্দ্রের হাত খতিয়ে দেখা হলে তাতে রেনু দেবীর চুল পাওয়া যায় ৷
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সামনে ভেঙে পড়েন জীতেন্দ্র এবং নিজের দোষ স্বীকার করে নেন ৷ রেনু দেবীর ছেলে জানান, তিনি বেকার ছিলেন তাই মাঝেমধ্যেই তার মা চাকরি করার কথা বলতেন ৷ বেকার বলে মাঝেমধ্যেই কথা শোনাতেন ৷ বুধবার রাতেও এরকম কথা বলায় জীতেন্দ্র হাতুড়ি দিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত করলে সেখানেই মৃত্যু হয় রেনু দেবীর ৷