নিউজ ডেস্ক: ভুল করেছিলেন ‘ছোট্ট’ একটি। সে জন্য পেয়েছেন অনেক বড় শাস্তি। দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা। যদিও আইসিসি, সহযোগিতা করার জন্য শুরুতেই এক বছর স্থগিত করে দেয়। ফলে এক বছর সাজা ভোগ করছেন বিশ্বের এক সময়ের তিন ফরম্যাটেই সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সেই ছোট্ট ভুলটি যে কেন করলেন, সে জন্য এখন গভীর অনুতাপে ভুগছেন বাংলাদেশের সেরা এই ক্রিকেটার। ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের সঙ্গে ক্রিকবাজের ‘কনভারসেশনে’ এসে এই অনুতাপের কথা জানান সাকিব।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের প্রতিনি আহ্বান জানান, যে কোনো ধরনের সন্দেহজনক কিছু হলেই যেন তারা সেটা বোর্ডকে জানায়। এতে অনেক বড় বিপদ থেকে সবাই বেঁচে যাবে।
গত বছর অক্টোবরেই আইসিসির নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন সাকিব। অপরাধ, ভারতীয় জুয়াড়ি দিপক আগরওয়াল তাকে ফিক্সিংয়ের যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তা তিনি জানাননি আইসিসিকে। পরে আইসিসি যখন তদন্ত শুরু করে, তখন সাকিব সব স্বীকার করে নেন। এরপরই দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ঘোষণা করে আইসিসি। একই সঙ্গে ১ বছরের শাস্তি স্থগিত ঘোষণা করে।
হার্শা ভোগলের সঙ্গে ক্রিকবাজের কনভারসেশনে সাকিব বলেন, ‘ভারতীয় জুয়াড়ি কর্তৃক হঠাৎ করেই আমি প্রস্তাব পাই। বিষয়টাকে খুব একটা গুরুত্ব দিইনি। যে কারণে, আইসিসিকেও জানাইনি। কিন্তু যখন আমি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের মুখোমুখি হই, তখন যা জানতাম, তার সবই বলে দিই। তাদেরকে সব প্রমাণাদিও দিয়ে দিই। দেখলাম, তারা সব জানতো।’
হার্শা ভোগলেকে একই সঙ্গে সাকিব আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে, এ কারণেই শুধু আমার শাস্তির মেয়াদ হয়েছে মাত্র এক বছর। না হয়, আমি ৫ বছর কিংবা ১০ বছরের জন্যও নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারতাম।’