নিহত সেনাদের লাশ কোথায়, তোপের মুখে চীন

28

নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে ভূখণ্ড অতিক্রম নিয়ে চীন-ভারতের সংঘর্ষ এ সপ্তাহ পেরিয়েছে। ১৫ জুন রাতে প্রতিবেশী পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পন্ন দেশ দুইটির সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনা নিহতের কথা জানানো হয়। তবে চীনের পক্ষ থেকে হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কিছু প্রকাশ করা হয়নি। পরবর্তীতে এক কমান্ডার নিহতের কথা জানায় বেইজিং।

এমন ঘটনায় চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নেটাগরিকরা। দেশটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের একাংশ সরাসরি শাসক কমিউনিস্ট পার্টি ও সরকারের ঊর্ধ্বতনদের আক্রমণ করে বলছেন, কীভাবে শহিদদের সম্মান করতে হয়, তা ভারতকে দেখে শিখুন। কতজন সেনা নিহত, তাদের মরদেহ কোথায় রয়েছে, শেষকৃত্য হয়ে গিয়েছে কি-না, সে সব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

কলকাতার সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, গালওয়ানে সংঘর্ষের ঘটনায় চীনা বাহিনীর এক কমান্ডারের মৃত্যুর খবর সোমবার সেনাস্তরের বৈঠকে প্রথম স্বীকার করেছে বেজিং।

পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের দাবি, সংঘর্ষে ভারতের চেয়ে চীনের কম সেনা নিহত হয়েছে। যদিও ১৫ জুনের পরেই ভারতীয় সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পিপলস লিবারেশন আর্মির অন্তত ৪৫ জন হতাহত হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি আমেরিকার একটি সামরিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে চীনের অন্তত ৩৪ জন সেনা নিহত হয়েছে।

এদিকে চীনা নেটিজেনদের একাংশের দাবি, পিপলস লিবারেশন আর্মির নিহত কমান্ডারের মরদেহ গোপনে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিহত অন্য সেনাদের বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি চীনা সরকার।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালে সিকিমের নাথু লা এবং চো লায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত চীনা সেনার সংখ্যা প্রকাশ করেনি বেইজিং। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো দাবি করছে, সেই যুদ্ধে কমপক্ষে সাড়ে ৩০০ চীনা সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।