নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রথম রেড জোন ঘোষিত কক্সবাজার পৌর এলাকায় লকডাউনের মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। এতে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউনের সার্বিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২০ জুন) বিকালে এ তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা।
করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় জেলা প্রশাসন গত ৬ জুন কক্সবাজার পৌর এলাকাকে দেশের প্রথম ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে ১৫ দিনের জন্য ফের লকডাউন করে। প্রশাসনের ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (২০ জুন) ছিল লকডাউনের শেষদিন।
তবে কক্সবাজারে করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ বিবেচনায় প্রশাসন লকডাউনের মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
মাসুদুর রহমান বলেন, ‘‘কক্সবাজার পৌর এলাকায় আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ৬ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত রেড জোন ঘোষণা ফের লকডাউন করা হয়।
‘শনিবার ছিল লকডাউনের শেষদিন। কিন্তু এ পৌর শহরটিতে দিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়েই চলছে। শুক্রবার পর্যন্ত জেলা মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে এক হাজার ৯৬৪ জন। এদের অধিকাংশই আক্রান্ত হয়েছে গত ২০ দিনে। আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। এদের মধ্যে ১৫ জনই কক্সবাজার পৌর এলাকার বাসিন্দা।”
এজন্য করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কক্সবাজার পৌর এলাকায় লকডাউনের মেয়াদকাল আরও ১০ দিন বৃদ্ধি করে ৩০ জুন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
মাসুদুর রহমান জানান, লকডাউনের বর্ধিত মেয়াদকালে আগের মতই দেশের সার্বিক কার্যাবলী ও জনসাধারণের চলাচলের নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য শর্তাবলী বলবৎ থাকবে। এছাড়া লকডাউন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ পূর্বের মত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
এদিকে কক্সবাজার পৌর এলাকা ছাড়াও গত ৭ জুন চকরিয়া পৌর এলাকা ও ডুলহাজারা ইউনিয়ন, টেকনাফ পৌর এলাকা এবং উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার স্টেশনের আশপাশের তিনটি ওয়ার্ড ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন কুতুপালং স্টেশনের আশপাশের এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করে লকডাউন করা হয়েছে। পরে ৮ জুন লকডাউন করা হয় উখিয়া উপজেলা সদর স্টেশনের আশপাশের তিনটি ওয়ার্ড।
তবে জেলা ফের লকডাউন করা এসব এলাকার ‘লকডাউনের মেয়াদ’ আরও বৃদ্ধি করা হবে কি না তা পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা।