গালওয়ান নদীর গতিপথ বদলের চেষ্টা করছে চীন: এনডিটিভি

35

নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় পার্লামেন্টের ‘ফোকলোর’ বা লোকগাথার অংশ হয়ে আছে, এমন একটা কাহিনি দিয়ে শুরু করা যাক। সেটা ১৯৬২’র ভারত-চীন যুদ্ধের মাসকয়েক আগের কথা। পূর্ব লাদাখের কারাকোরাম ঘেঁষা এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চীন ক্রমশ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে ফেলছে– আর ভারত রয়েছে নীরব দর্শকের ভূমিকায়, এমনই এক ইস্যুতে পার্লামেন্টে সেদিন উত্তপ্ত তর্কবিতর্ক চলছিল।

প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সেই বিতর্কের একটা পর্যায়ে বলে বসেন, ‘আর তাছাড়া গোটা দুনিয়ায় এমন সৃষ্টিছাড়া জায়গা আর কোথায়ই বা আছে যেখানে একটা গাছ তো দূরে থাক– কোনও ঘাস পর্যন্ত জন্মায় না? অমন জায়গা আমাদের থেকেই বা কী লাভ?’

সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়ান পণ্ডিত নেহেরুর দলেরই নেতা, দেরাদুনের ডাকসাইটে এমপি মহাবীর ত্যাগী। নিজের মাথাভর্তি বিশাল টাকের দিকে আঙুল দেখিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলে উঠলেন, ‘এ আপনি কী বলছেন? আমার মাথাতেও তো কোনও চুল গজায় না– কিন্তু তাই বলে কি এটার কোনও দাম নেই? না কি এটা অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া যায়?’

খানিকটা রসিকতার ছলে বলা হলেও ভারত কিন্তু অল্প দিনের মধ্যেই টের পেয়েছিল মহাবীর ত্যাগী কী মোক্ষম কথাটাই না সেদিন বলেছিলেন। গালওয়ান ভ্যালির গুরুত্ব ভারত টের পেয়েছিল অনেক মূল্য দিয়ে। বস্তুত বাষট্টির চীন-ভারত যুদ্ধে প্রধানতম ফ্ল্যাশপয়েন্ট হয়ে উঠেছিল গালওয়ান পোস্ট, সেখানে চীনা বাহিনীর গোলাবর্ষণে ৩৬জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পরই আনুষ্ঠানিকভাবে দু’দেশের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।