ধামরাইয়ে লকডাউন স্থগিত

8

নিউজ ডেস্ক: ঢাকার ধামরাইয়ে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং করোনা বিস্তার রোধে ছয়টি ইউনিয়নে ক্লাস্টার ও ধামরাই পৌরসভায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু ঢাকা জেলা সিভিল সার্জনের সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারণে ঘোষিত লকডাউন স্থগিত করার হয়েছে।

শনিবার (২০ জুন) থেকে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত ধামরাই পৌরসভা, আমতা, সানোড়া, সূতিপাড়া, সোমভাগ, ধামরাই ও ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।

সে মোতাবেক উপজেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১৮, ১৯ জুন) মাইকিং করা হয়। কিন্তু আকস্মিকভাবে ১৯ জুন রাত সাড়ে ৯টায় লকডাউন স্থগিত করে উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, লকডাউনের বিষয়ে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে সিভিল সার্জনের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সিভিল সার্জনের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে লকডাউন করার বিধান রয়েছে। কিন্তু ধামরাইতে এর ব্যত্যয় ঘটেছে। সিভিল সার্জনের কোনো অনুমতি না থাকায় শনিবার থেকে লকডাউন স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সামিউল হক বাংলানিউজকে জানান, রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু সরকারিভাবে লকডাউনের সিদ্ধান নেই। ফলে লকডাউন স্থগিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. মইনুল আহসন বলেন, লকডাউন দিতে হলে আমার লিখিত অনুমতি লাগবে। আমি কোনো লিখিত অনুমতি দেইনি। এছাড়া লকডাউন করতে হলে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপারের (এসপি) সঙ্গে পরামর্শক্রমে সিভিল সার্জন লিখিত অনুমতি দিলেই লকডাউনের ঘোষণা দিতে পারে স্থানীয় প্রশাসন। ধামরাই রেড জোন চিহ্নিত করা হয়েছে কিন্তু লকডাইনের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।