টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আইপিএলে থাকছে চীনের ভিভো

27

নিউজ ডেস্ক: গত সোমবার লাদাখের গালভান ভ্যালিতে সীমান্ত-সংঘর্ষ হয়েছে চীন ও ভারতের মধ্যে। চার দশকের মধ্যে সীমান্তে এত বড় সংঘাত দুই এশীয় পরাশক্তির মধ্যে আর হয়নি। প্রাণ গেছে ২০ ভারতীয় সেনার।

ভারতে এখন চীনবিরোধী প্রচণ্ড উত্তপ্ত হাওয়া বইছে। চীনের সঙ্গে বানিজ্যচুক্তি বা চীনা পণ্য বর্জনের ডাক এসেছে। এর মধ্যেই কথা উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) পরিচালিত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট লিগ আইপিএলের সঙ্গে চীনা মোবাইল কোম্পানি ভিভোর যে টাইটেল স্পনসরশিপ চুক্তি রয়েছে, সেটি বাতিল করা হবে কি না।

কিন্তু বিসিসিআইয়ের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল আজ শুক্রবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে যেমনটি বলেছেন, তাতে বিসিসিআই পরের চক্রের জন্য স্পনসরশিপ চুক্তিটি পর্যালোচনা করে দেখবে, কিন্তু ভিভোর সঙ্গে বর্তমান চুক্তিটি বাতিল করার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। কারণ চীনা এই কোম্পানি থেকে যে অর্থ আসছে তা ভারতের অর্থনীতিতেই অবদান রাখছে, উল্টোটা ঘটছে না।

বিসিসিআই পাঁচ বছরের চুক্তিতে ভিভোর কাছ থেকে বছরে পাচ্ছে ৪৪০ কোটি রুপি। চুক্তিটি শেষ হবে ২০২২ সালে। ধুমাল পিটিআইকে বলেছেন, ‘আপনি যখন আবেগের সঙ্গে কথা বলবেন, যুক্তিটা লোপ পাবে। একটি চীনা কোম্পানির পক্ষে দাঁড়িয়ে চীনের স্বার্থ রক্ষা করা আর চীনা কোম্পানির সাহায্যে ভারতের স্বার্থরক্ষার মাঝখানে যে ব্যবধান সেটি আপনাকে বুঝতে হবে।’

ধুমাল আরও যুক্তি দেখান, ‘আমরা যখন চীনা কোম্পানিগুলোকে ভারতে তাদের পণ্য বিক্রির অনুমতি দিয়েছি, তারা যে পরিমাণ অর্থই ভারতীয় ভোক্তাদের কাছ থেকে তুলে নিয়ে যাক না কেন, তারা বিসিসিআইকে সেটির আংশিক দিচ্ছে ব্র্যান্ড প্রমোশনের অংশ হিসেবে আর বিসিসিআই সেই অর্থের ৪২ শতাংশ কর দিচ্ছে ভারত সরকারকে। সুতরাং এতে ভারতের স্বার্থই রক্ষিত হচ্ছে, চীনের নয়।’

এর আগে ভিভোর মতোই চীনা মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড অপ্পো ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্পনসর ছিল। গত সেপ্টেম্বরে অপ্পোর জায়গায় এসেছে বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক শিক্ষাবিষয়ক প্রযুক্তি বাইজু’স স্টার্ট-আপ।

ধুমাল বলেছেন, তিনি সবসময়ই চান যে চীনা পণ্যের ওপর ভারতের নির্ভরতা কমুক, কিন্তু যতদিন পর্যন্ত চীনের কোম্পানিগুলো ভারতে ব্যবসা করার অনুমতি পাচ্ছে, ততদিন চীনা কোম্পানির আইপিএলে স্পনসর হতে বাধা দেখেন না।

এদিকে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (আইওএ) চীনা পণ্য ও চীনা বাণিজ্যিক স্পনসর বর্জনে দেশবাসীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। আইওএ মহাসচিব রাজীব মেহতা বলেছেন, তারা চীনা কোম্পানি লি নিংয়ের সঙ্গে টোকিও অলিম্পিকে কিট সরবরাহ চুক্তিটি বাতিলের চিন্তাভাবনা করছেন। মেহতা বলেছেন, ‘টোকিও অলিম্পিক পর্যন্ত লি নিং আমাদের কিটিং পার্টনার। কিন্তু দেশ সবকিছুর আগে, আইওএ’র ভাবনাও ভিন্ন নয়।’