দুটি ওয়ার্ড লকডাউন হবে, জানানো হয়নি সময়

101

নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৭টি ওয়ার্ড রেড জোন এবং ৩টি ওয়ার্ডকে হলুদ জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। চিহ্নিত করার তিন দিন (১৫ জুন) পর বৃহস্পতিবার বিকালে জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুটি ওয়ার্ড চিহ্নিত করে পুরোপুরি লকডাউন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও তা কবে থেকে বাস্তবায়ন হবে সে ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

রাত ১০টার দিকে ই-মেইলে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সভার তথ্য জানান বিসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান।

জোনভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে বিসিসি’র মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্ত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অমিতাভ সরকার, পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান, ডিজিএফআই পরিচালক কর্নেল জিএস মো. বাকের, শেখ হাসিনা সেনানিবাস ৬২ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়সাল আবেদী হাসান, র‌্যাব-৮ এর কমান্ডিং অফিসার আতিকা ইসলাম, বরিশাল এনএসআই যুগ্ম পরিচালক অসিত বরন সরকার, বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস, সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন, শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বরিশাল শাখার জি.এম স্বপন কুমার দাস এবং বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের যুগ্ম পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার।

সভায় বিসিসি’র রেড জোন চিহ্নিত এলাকাসমূহে জনসাধারণের চলাচল ও সার্বিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণের জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক লকডাউন করার বিষয়, লকডাউন চলাকালীন স্বাস্থ্য সেবা ও জনসচেতনতা, নৌপথ ও সড়ক পথে যানবাহন চলাচলের সীমাবদ্ধতা, লকডাউন এলাকার জনগণের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়াসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রথম ধাপে নগরীর ১২ নম্বর ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডকে পুরোপুরি লকডাউন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। জানানো হয়, পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে বিসিসি’র সব রেড জোন চিহ্নিত ওয়ার্ডকে লকডাউনের আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত ১৫ জুন বিসিসি এলাকা সম্পূর্ণ লকডাউন করতে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সিভিল সার্জনকে অবহিত করে তা ‘দ্রুত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে’র জন্য বলা হয়। পরদিন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ বিষয় নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হলেও কীভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন হবে সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।