নিউজ ডেস্ক: খুলনায় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক গৃহবধূকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গত ৬ জুন থেকে একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে হাসপাতালে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত (আউট সোর্সিং) কর্মচারী নজরুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) তাকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযোগে জানা যায়, গত ৬ জুন করোনা পজিটিভ হয়ে ওই গৃহবধূ করোনা হাসপাতালে (আগে যেটি ছিল ডায়াবেটিস হাসপাতাল) ভর্তি হন। ভর্তির পর থেকেই আউটসোর্সিং কর্মচারী নজরুল ইসলাম নানাভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। ঘটনার দিন রাতের বেলায় নানা অজুহাতে তাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করে। এছাড়া গভীর রাতে মহিলা ওয়ার্ডে এসে অন্য নারীদেরও ব্লাড প্রেসার মাপা বা অক্সিজেন দেওয়ার অজুহাতে সে গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করতো বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, ১৩ জুন রাতে নজরুল মহিলা ওয়ার্ডে এসে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে অপারেশন থিয়েটারে আসতে বলে। না আসলে সমস্যা হবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি তিনি ওয়ার্ডের অন্য রোগীদের জানিয়ে অপারেশন থিয়েটারে গেলে নজরুল তাকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করে। এ সময় অন্য রোগীরা তাকে ঘেরাও করে বিষয়টি নার্স ও ডাক্তারদের অবহিত করেন। সোমবার (১৫ জুন) এ নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এ ধরনের অপরাধ মেনে নেওয়া যায় না।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার বলেন, অভিযোগ ওঠার পর নজরুলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া মহিলা ওয়ার্ডে পুরুষরা কেন দায়িত্বে ছিল সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে করোনা পজিটিভ রোগীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে নজরুল ইসলাকে মঙ্গলবার সকালে আটক করা হয়েছে বলে জানান সোনাডাঙ্গা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার রাধেশ্যাম সরকার। তিনি বলেন, ‘ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে মৌখিক আলোচনার পর তাকে হাফিজনগর খোড়াবস্তি এলাকা থেকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’