নিউজ ডেস্ক: রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় বান্দরবান সদর উপজেলাসহ জেলার পাঁচটি উপজেলায় চতুর্থ দিনের মতো লকডাউন কার্যক্রম চলছে। আর এতে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে পুরো জেলা।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ দ্রুতই বাড়ছে বান্দরবানে। সাধারণ মানুষ তো বটেই এরইমধ্যে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক, এসিল্যান্ড, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। গত শনিবার (৬ জুন) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও তার বাসার কয়েকজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে এ বিষয়ে টনক নড়ে প্রশাসনের।
আর এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরামর্শে গত ১০ জুন থেকে বান্দরবান সদরসহ জেলার পাঁচটি উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করে লক ডাউন করে দেয় প্রশাসন। এসব এলাকায় প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, চিকিৎসক, মানবিক সহায়তা/ত্রাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, জরুরি ঔষধ, চিকিৎসা উপকরণ, কৃষি উপকরণ ও পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে রেড জোন ঘোষিত এলাকাগুলোতে হাট-বাজার, দোকানপাট ও সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকজনের চলাচলও খুবই সীমিত। এমনকি সাংবাদিকদের চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে জেলা সদরে। কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিককে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও বাকিদের ঘরে থেকেই সংবাদ সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
বান্দরবান পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী জানিয়েছেন, বান্দরবানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওষুধের দোকান ব্যতীত সকল ধরনের দোকান পাট, হাট বাজারকে লকডাউনের আওতায় রেখেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া মাত্র আমরা তা শিথিল করার চেষ্টা করবো।