নিউজ ডেস্ক: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে ব্যর্থ হয়ে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে দুই শিশুকে কায়দায় হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ৫ জুন থানায় মামলা হলেও আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।
জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার দেওধা গ্রামের এক গৃহবধূর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনে ব্যর্থ হয় ওই এলাকার মোতালেব আলী। পরে ওই গৃহবধূর শিশু সন্তান সুমন ও ভাতিজা কমিরুলের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলেন তিনি। এ ঘটনায় ২২ মে সেনগাঁও ইউনিয়নের চার নম্বর ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সালিশ হয়। সেখানে ওই দুই শিশুকে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়।
পরে নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে ওই গৃহবধূর কাছে টাকাও দাবি করা হয়। টাকা না পেয়ে পরবর্তীতে গৃহবধূকে মারপিট করে তার বাড়ি থেকে একটি গরু ধরে নিয়ে যায় নির্যাতনকারীরা।
এ ঘটনায় ৫ জুন থানায় মামলা করেন গৃহবধু। মামলার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ঘটনার পর ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামসহ অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় গণমাধ্যমে জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।