নিউজ ডেস্ক: বিদ্যমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার হজে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই। এদিকে বাংলাদেশ হজের প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পরামর্শ করে তারপর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ আবদুল্লাহ।
করোনার সংক্রমণের আশঙ্কা ও এর ভ্যাকসিন না থাকার কারণে মালয়েশিয়ার নাগরিকদের এ বছর হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা জারির কথা নিশ্চিত করেছেন দেশটির ধর্মমন্ত্রী জুলকিফলি মোহাম্মদ আল-বাকরি। তিনি বলেন, আমি আশা করি হজে যেতে আগ্রহীরা ধৈর্য ধারণ করবেন ও সরকারের এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। পৃথক এক বিবৃতিতে দেশটির তাবুং হজ বোর্ড জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে এ বছরের জন্য নির্বাচিত ৩১ হাজার ৬০০ মানুষের হজযাত্রা বাতিল হতে পারে।
এর আগে গত সপ্তাহে বিশ্বের সবচেয়ে মুসলিম প্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়া এ বছর নিজ দেশের নাগরিকদের হজযাত্রা বাতিল করে। এতে করে ২ লাখ ২১ হাজার মানুষের হজযাত্রা বাতিল হয়।
মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার ধারাবাহিকতায় একইরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রুনাই ও সিঙ্গাপুর। ব্রুনাই সরকারের এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বর্নিও বুলেটিন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রুনাই হজযাত্রীদের আগে নিবন্ধিত হওয়া সত্ত্বেও আসন্ন হজের প্রস্তুতি বাতিল করেছে।
বাংলাদেশ হজ মিশন কাউন্সিলর মাকসুদুর রহমান বলেন, তারা এ ব্যাপারে নিরবচ্ছিন্নভাবে সৌদি সরকার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সৌদি সরকার হজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হলে নাইজেরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ এ ব্যাপারে নিজেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
উল্লেখ্য, হজের বাকি আর খুব বেশি সময় নেই। প্রতি বছর জুলাইয়ের শেষদিকে এ আয়োজনে অংশ নেয় লাখ লাখ মানুষ।