নিউজ ডেস্ক: ভারতে একটি পাঁচ বছর বয়সের বাঘকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দেশটির মধ্যপ্রদেশ বন দপ্তর এই কারাদণ্ড দেয়। বাঘটি ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশে ঢোকে। পশ্চিমে মহারাষ্ট্র থেকে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলায় প্রবেশ করে।
একের পর এক মানুষ খাওয়ার অপরাধে বাঘটিকে এই শাস্তি দেয়া হয়। এছাড়াও বন দপ্তরের অত্যন্ত বিপজ্জনক তালিকায়ও বাঘটির নাম উঠেছে। এমন খবর প্রকাশ করেছে নিউজ এইট্টিন।
এ বিষয়ে মধ্যপ্রদেশের চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন এস কে মণ্ডল বলেন, ‘আমরা বাঘটিকে অনেক সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু বাঘটি শুধরানোর পাত্র নয়। মানুষ খাওয়া ওর অভ্যাস হয়ে গেছে। শুধু মানুষ নয়, গবাদিপশুও খেয়ে নিচ্ছে।’
রাজ্যটির বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাঘটিকে শায়েস্তা করার একটাই উপায় ছিলো। যাবজ্জীবন বন্দি করা। তাতে বাঘ ও মানুষ– উভয়ের পক্ষেই মঙ্গলের। এতে করে দুই পক্ষই সুরক্ষিত থাকবে।
বাঘটিকে অনেকে বলে ভেগাবন্ড ডাকে। কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বাঘটির নাম দিয়েছে নোমাদ। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দুই মাসের জন্য বাঘটিকে একবার বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তারপর ছেড়ে দেয়া হয়। ছাড়া পেয়ে আবারো মানুষ খায় বাঘটি। গত শনিবার বাঘটিকে চেতনাশক গুলো করে বন কর্মীরা। এরপর তাকে ভোপালের চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে এস কে মণ্ডল বলেন, ‘আমরা কয়েক দিন বাঘটির ব্যবহার লক্ষ্য রাখবো। নতুন পরিবেশে বাঘটির মানিয়ে নিতে প্রথমে অসুবিধা হবে।’