এ সময় বাইরে কী পরা বেশি নিরাপদ?

26

নিউজ ডেস্ক: মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী ব্যাহত হচ্ছে মানুষের সাধারণ জীবনযাপন। শুধু সাধারণ পোশাক পরে এখন আর বাইরে বের হওয়া নিরাপদ নয়।

বাইরে বের হতে হলে অবশ্যই আপনাকে সুরক্ষা পোশাক ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। তবে এখন অনেকে মাস্ক পরেও নিরাপদ বোধ করছেন না। আতঙ্ক কাটাতে অনেকে ব্যবহার করছেন ফেস শিল্ড।

অনেকের প্রশ্ন রয়েছে– শুধু মাস্ক পরলেই কি হবে? না কি পরতে হবে ফেস শিল্ডও?

বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অনেকেই মাস্কের ওপর স্বচ্ছ্ব প্লাস্টিকের মুখাবরণ বা ফেস শিল্ড পরছেন। গণপরিবহনে যেহেতু করোনার ঝুঁকি বেশি, তাই হয়তো ভাবছেন মাস্ক ও ফেস শিল্ড দুটোই কি পরবেন? আর কোনটি বেশি নিরাপত্তা দেবে?

আসুন জেনে নিই কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

দুই বা তিন স্তরের কাপড় ও ফিল্টার দেয়া মাস্ক ঠিকভাবে পরলে এবং মানুষের সঙ্গে ৩-৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে পারলে প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া যায়।

তবে অনেকে মাস্ক সঠিকভাবে পরতে পারেন না। কেউ কথা বলার সময় চিবুকের কাছে নামিয়ে রাখেন, কেউ বা পরেন নাকের নিচে এবং তা প্রায়ই নাক থেকে সরে যায়। কখনও আবার এত হালকা করে বাঁধেন যে চারপাশে প্রচুর ফাঁক থেকে যায়। অনেকে আবার বারবার মাস্কের বাইরের অংশে হাত দিয়ে সেই হাত-নাক, মুখ ও চোখে লাগান।

কেউ কেউ একটিই মাস্ক না ধুয়ে প্রতিদিন পরতে থাকেন। এভাবে মাস্ক পরা নিরাপদ নয়, বাড়তে পারে বিপদ।

এ ছাড়া মাস্ক পরলে আবার আলাদা করে চশমা বা সানগ্লাসেও চোখ ঢাকতে হয়।

সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দীর মতে, শিল্ডের সুবিধা হলো– এতে কপাল থেকে চিবুক ছাপিয়ে ঢাকা থাকে। ফলে চোখে আলাদা করে কিছু পরতে হয় না ও কথা বলারও সুবিধা হয়। এ ছাড়া চোখ, মুখ ও নাকে হাত দেয়া যায় না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়।

তিনি বলেন, মাস্ক পরলে যাদের দমবন্ধ লাগে তারা ফেস শিল্ড ব্যবহার করতে পারেন। তা ছাড়া এটি জীবাণুমুক্ত করাও সহজ। সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে বা স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে নিলে তা পরিষ্কার হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, শিল্ড পরতে হবে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, রাস্তায় বেশি লোকসমক্ষে আসা পুলিশকর্মী ও হাসপাতাল কর্মীদের।
দুটো পরলে কি তা হলে বেশি নিরাপত্তা? চিকিৎসকদের মতে, রাস্তা ও বাসের যে অবস্থা তাতে যদি দুটো পরেও সামলাতে পারেন, তা হলে তা পরতে পারেন। তবে নিয়ম মেনে ঠিক পদ্ধতিতে মাস্ক পরলে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারলে মাস্কেই আস্থা রাখতে পারেন।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা