যাত্রীর চাপ বাড়াতে কোনো নিয়মই কার্যকর হয় নি

24

নিউজ ডেস্ক: লঞ্চ চলাচল শুরুর পর দ্বিতীয় দিন সোমবার সকালের ভাগে কর্তৃপক্ষ সব নিয়ম মেনে লঞ্চ ছাড়ার চেষ্টা করলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকায় কোনো নিয়মই আর কার্যকর থাকেনি।

ঘাটে দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আবুল বাশার মজুমদার বলেন, “যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।”

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে চলা লকডাউন ওঠার হওয়ার পর রোববার থেকে অফিস খোলার পাশাপাশি যানবাহন চলাচালের অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু শর্ত ছিল, কোনো বাহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেকের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না, মেনে চলতে হবে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম।

চাঁদপুর থেকে লঞ্চ চলাচল শুরুর পর রোববার ঘাটে অনেক যাত্রীর মধ্যে সেসব নিয়ম মেনে চলতে অনিহা দেখা যায়। ঘাটে অব্যবস্থাপনার দায়ে বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাককে সাময়িক বরখাস্ত করে কর্তৃপক্ষ।

সে কারণে সোমবার সকাল থেকেই কর্তৃপক্ষ ঠিকঠাক নিয়ম অনুসরণ করে যাত্রী তোলার চেষ্টা করছিল। তাতে দিনের শুরুতে ঘাটে যাত্রীদের লাইন প্রায় আধা কিলোমটার ছাড়িয়ে যায়। তবে তখনও তাদের দূরত্বের নিয়ম মানতে দেখা গিয়েছিল।

যাত্রীরা লঞ্চে ঢোকার সময় জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটানো হচ্ছিল। লঞ্চে বসার ক্ষেত্রেও দূরত্ব রাখার চেষ্টা দেখা যাচ্ছিল।

ওই পরিস্থিতির মধ্যে সকাল ৬টায় এমভি রফ রফ-২, সকাল ৭টায় এমভি সোনার তরী ও সকাল ৮টায় এমভি ঈগল-৭ ঢাকার উদ্দশ্যে ছেড়ে যায়।