নিউজ ডেস্ক: দেশের সকল আদালতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত বিচারিক কার্যক্রম চলবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলবে এ কার্যক্রম। এ জন্য আগে চারটি বেঞ্চ থাকলেও গতকাল ৩০ মে, শনিবার হাইকোর্ট বিভাগের ১১টি পৃথক একক বেঞ্চকে মামলা শুনানির এখতিয়ার দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালনা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্রধান বিচারপতির সাথে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ৩১ মে হতে ১৫ জুন পর্যন্ত ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০’ এবং এ আদালত কর্তৃক জারিকৃত প্রাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকার্য পরিচালিত হবে।”
গত ৯ মে আদালতকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার বিচারের ক্ষমতা দিয়ে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০’ জারি করে সরকার। এরপর গত ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালতের জন্য পৃথক প্রাকটিস ডাইরেকশন জারি করা হয়।
এছাড়া হাইকোর্টে জরুরি বিষয়গুলোর শুনানির জন্য চারটি একক বেঞ্চকে এখতিয়ার দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
উল্লেখ্য যে, সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটির সাথে মিলিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২৯ মার্চ থেকে সারা দেশের আদালতগুলোতে ছুটি চলছে। তবে গতকাল ৩০ মে শেষ হয়ে গেছে সাধারণ ছুটির মেয়াদ। আজ ৩১ মে থেকে দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে।