পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সীমিত পরিসরে বিপিএল চান ফুটবলাররা

11

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসর নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে খেলোয়াড় এবং ক্লাব কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সীমিত পরিসরে লিগ শেষ করার পক্ষে ফুটবলাররা। অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে লিগ চালু না করার পক্ষে মত ক্লাব কর্মকর্তাদের। রোববার বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে ভাগ্য নির্ধারণ হবে চলতি লিগের।

দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের ভাগ্য ঝুলে আছে। করোনার কারণে স্থগিত হওয়া এই লিগ আদৌ মাঠে গড়াবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবাই।

সংকটকালে কি আছে লিগের ভাগ্যে? এ নিয়ে বৈঠক হয়েছে কয়েকদফা। কিন্তু আসেনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

চলতি প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়াবে নাকি ইতি টানতে হবে। এ নিয়ে আবারো বৈঠকে বসতে যাচ্ছে পেশাদার লিগ কমিটি।

তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যাই আসুক, স্বল্প পরিসরে হলেও লিগ চালুর পক্ষে ফুটবলাররা। আর্থিক সমস্যা কাটানো কিংবা চুক্তি ঠিক রাখার স্বার্থে পরিস্থিতি বিবেচনা করে লিগ চালুর পক্ষে মত ফুটবলারদের।

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল বলেন, একজন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে আমি কখনোই চাই না লিগ বাতিল হোক। এবারের লিগ বাতিল হলে আমাদের একটি বছর হারিয়ে যাবে। এমন হলে আর্থিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। বাফুফেসহ সবার কাছে রিকোয়েস্ট থাকবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বল্প পরিসরে হলেও পরবর্তীতে যেন লিগের খেলা হয়।

তবে উল্টো যুক্তি কর্মকর্তাদের। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনভাবেই লিগ মাঠে গড়ানোর পক্ষে নন তারা। স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ ক্লাবের লোকসানের কথা বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানান ক্লাব কর্মকর্তারা। সর্বোপরি কমিটির সিদ্ধান্তকেই প্রাধান্য দিতে চান তারা।

ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান বলেন, কমিটির সঙ্গে এর আগের মিটিংয়ে প্রায় ১২টি ক্লাবই লিগ না খেলার পক্ষে মত দিয়েছিল। বর্তমান অবস্থায় লিগ চালু করা প্রশ্নই ওঠে না। এই অবস্থায় মনে হয় না লিগ চালু করা সম্ভব হবে। ক্লাবগুলো চলে স্পন্সরের ওপর। সবকিছু মেইন্টেইন করে এগুতে হবে। পেশাদার লিগ কমিটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিবে বলে আশা করছি।

আবাহনী লিমিটেডের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু বলেন, পেশাদার ক্লাবগুলোকে নিয়ে লিগ কমিটির বৈঠক আগেও হয়েছিল। ওই বৈঠকে ক্লাবগুলোর মতামত পুনরায় উপস্থাপন করা হবে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে কি করা যায়। এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না, বেশকিছু ক্লাব লিগ শেষ করার জন্য আবেদন জানিয়েছে। সব বিষয়গুলো বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে কমিটি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফুটবল মাঠে থাকবে সেটাই কামনা।

তবে জটিলতাও আছে। এখন পর্যন্ত লিগের খেলা শেষ হয়েছে মাত্র ২৫ ভাগ। স্থগিত হওয়ার আগে ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে যৌথভাবে শীর্ষে আছে আবাহনী লিমিটেড এবং চট্টগ্রাম আবাহনী। এমন অবস্থায় লিগ বাতিল হলে শিরোপা পাবে না কোন দলই। সেক্ষেত্রে ২০২১ সালে এএফসি কাপে কোন প্রতিনিধি থাকবে না বাংলাদেশের। আর সমাপ্ত ঘোষণা করলে শিরোপা পুনরুদ্ধার হবে আবাহনী লিমিটেডের।