‘লকডাউন শিথিলের মানে নিজেদের পায়ে কুড়াল মারা’

12

নিউজ ডেস্কঃ লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত নিজেদের পায়ে কুড়াল মারার সঙ্গে তুলনা করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলেছে, প্রধানমন্ত্রীকে এমনটা করতে যারা পরামর্শ দিচ্ছেন, তারা জনস্বাস্থ্যের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অনলাইন বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবে করোনা নিয়ে এসব কথা বলেন দলের নেতারা।

অনলাইন মিটিং এর প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, এশিয়ার মধ্যে করোনা সংক্রমনের হার বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশী। প্রস্তাবে বলা হয় করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থায় এখনও গুরুতর সমন্বয়হীনতা ও বেহাল দশা বিদ্যমান। বেশিরভাগ সাধারণ মানুষতো বটেই, সমাজ ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও করোনার উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছেন।

প্রস্তাবে বলা হয়, করোনা দুর্যোগে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় সরকার নতুন করে যে ৫০ লাখ গরিব ও নিম্নআয়ের লোককে অন্তর্ভূক্ত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাও অনিয়ম ও দলীয়করণের কারণে নতুন সংকট তৈরী করছে। অধিকাংশ শ্রমজীবী- মেহনতি মানুষ এখনও এই তালিকার বাইরে।

প্রস্তাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল পরিস্থিতির অবসান, অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ করে ২ কোটি পরিবারের কাছে খাদ্য ও অর্থ পৌঁছানোর দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবে নিবর্তনমূলক ও অগণতান্ত্রিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ব্যর্থতা ঢাকার বর্ম হিসাবে ব্যবহার না করার আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবে এই আইনে গ্রেপ্তার সকলকে অবিলম্বে মুক্তি দেবার আহ্বান জানানো হয়।

পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে এই অনলাইন মিটিং এ বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন, শাহাদাৎ হোসেন খোকন, মাহমুদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম সরদার, রইসউদ্দীন, খলিলুর রহমান,স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, ফিরোজ আহমেদ, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু প্রমুখ।