পুরান ঢাকায় ৭৫০জন আক্রান্ত ও মৃত্যু ৫৫ জন

8

নিউজ ডেস্কঃ  রাজধানীর পুরান ঢাকায় গত ১৪ দিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় চারশ বেড়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ২৫ জন।

পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১৭ এপ্রিল পুরান ঢাকার ১০ থানা এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬২, আর মৃতের সংখ্যা ছিল ২০। মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ এপ্রিল বেড়ে দাঁড়ায় ৩৪, আর আক্রান্তের সংখ্যা হয় ৩৭২ জন।

১৪ দিন পর রোববার সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে দেখা যায়, আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫০, আর মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে যে ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তার এক-চতুর্থাংশই পুরান ঢাকার বাসিন্দা।

দেশে মোট সাড়ে ১৪ হাজার আক্রান্তের মধ্যে প্রায় ৭ হাজার ঢাকা নগরীর বাসিন্দা, তার মধ্যে ৭৫০ জন পুরান ঢাকার।

রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ পুরান ঢাকায় এত বেশি আক্রান্ত দেখে ওই এলাকার অনেকে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

মিন্টু মিয়া নামের নয়াবাজার এলাকার এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “দিন দিন এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সবকিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে। সামনে যে কী অপেক্ষা করছে!”

আলুবাজারের বাসিন্দা মো. ফারুক হোসেন বলেন, “আজ দোকানপাট খুলেছে, এত মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাফেরা করেছে যে আতঙ্কিত হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।”

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পুলিশ পুরান ঢাকার হাজারের বেশি ভবন ‘লকডাউন’ করলেও রোগ ছড়ানো ঠেকানো যাচ্ছে না।

সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে গেণ্ডারিয়া থানা এলাকায় ১৮২ জন। চকবাজারে আক্রান্ত ৯৫ জন, কামরাঙ্গীরচরে ৯২ জন, কোতোয়ালিতে ৮৫ জন।

বংশাল থানায় এলাকায় ৭১ জন, ওয়ারীতে ৬১জন, লালবাগে ৪৫ জন, হাজারীবাগে ৩৮ জন, সূত্রাপুরে ৪১ জন, শ্যামপুরে ৪০ জন শনাক্ত হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি রোগী মারা গেছে বংশালে ১১ জন। আটজন করে মারা গেছে গেণ্ডারিয়া ও চকবাজারে। ছয়জন করে মারা গেছে কোতোয়ালি, ওয়ারী ও সূত্রাপুরে।

এছাড়া অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ কামরাঙ্গীরচরে মারা গেছে চারজন। হাজারীবাগ, লালবাগ ও শ্যামপুরে মারা গেছে দুজন করে।