ডেঙ্গুর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ম্যাপ

126

মোঃ নুরুল্লাহ্ : GroupMappers নামে এক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সম্পুর্ণ ভলান্টিয়ার সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে ডেঙ্গুর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার একটি ম্যাপ।

২০১৯ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ঢাকার ২২টি হাসপাতালের ২০৫৯ জন ডেঙ্গু রোগীর তথ্য সংগ্রহ করে তৈরী এই ম্যাপ। উল্লেখ্য যে, এখানে ডেঙ্গু রোগীর অবস্থান সম্পর্কিত উপাত্তের পাশাপাশি এডিস মশার ঘনত্ব সম্পর্কিত উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে। মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত না হলেও অধিক ঝুঁকিপূর্ন অঞ্চলগুলোর ধারনা পাওয়া যাবে এই ম্যাপ থেকে।

স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠন ঈগলেক্স কোম্পানির সহায়তায় ঢাকার কয়েকটি এলাকায় ড্রোন সার্ভের মধ্যে দিয়ে ইতিমধ্যেই আরেকটি পরীক্ষামূলক অনুসন্ধান পরিচালনা করেছে, আর তাতে উঠে এসেছে অবিশ্বাস্য এক চিত্র!!শুধুমাত্র একটি এলাকার বাড়ির ছাদে ২৯২টি টায়ার, ৭১১১টি ফুলের টব, ৭৪টি খোলা পানির ট্যাঙ্ক আর ১৬টি খোলা চৌবাচ্চা পাওয়া গেছে। অন্য কিছুকে যদি বাদ ও দেয়া হয়।

GroupMappers খুব শীগ্রই তাঁদের উদ্ভাবনী এই কাজের সম্পূর্ণ চিত্র প্রকাশ করতে যাচ্ছে। বিজ্ঞানধর্মী এই কাজটি একদিকে যেমন সাধারণ জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে, অন্যদিকে দুই সিটি কর্পোরেশনকে সাহায্য করতে পারে এডিস মশার উৎসস্থল ধ্বংসে কার্যকারী পদক্ষেপ নিতে।

আমরা সিটি কর্পোরেশনের ছিটানো ঔষধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারি, কিছু ভাঁড়ের ঝাড়ু হাতে ডেঙ্গু রোধের হাস্যকর কাজে বিরক্ত হতে পারি, বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসায় অগ্রহনযোগ্য বিল নিয়ে প্রতিবাদ করতে পারি, এমনকি সরকারি হাসপাতালের বিনা পয়সায় প্রদেয় ডেঙ্গু চিকিৎসার সাথে অন্যান্য সুবিধার অপ্রতুলতা নিয়েও কথা বলতে পারি। কিন্তু আসল কাজ – ডেঙ্গুর প্রভাব কমবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা নিজের দিকে আঙ্গুল তুলছি!!!

Case Risk Map Caption: ঝুঁকিপূর্ন এলাকাগুলো অধিক গাঢ়ভাবে চিহ্নিত যেসকল এলাকা থেকে অধিক পরিমাণে রুগী হাসপাতালে এসেছেন কিংবা ভর্তি হয়েছেন।

Case Distribution Map Caption: ২০৫৯ জন ডেঙ্গু রোগীর স্থান বা বাড়ির ঠিকানা।

Drone Image Caption: ড্রোন সার্ভের মাধ্যমে পাওয়া চিত্র যেখানে মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করা সম্ভবপর।