জাতীয় ডেস্ক : ২০২২ সালের মধ্যেই গোটা দেশ থেকে কুকুরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করা সম্ভব হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, জলাতঙ্ক একটি মারাত্মক ব্যাধি যা একবার হলে মৃত্যু অনিবার্য।
সাধারণত কুকুরের কামড় থেকেই ৯০ ভাগ জলাতঙ্ক রোগ হয়। কিন্তু কুকুর আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে ও ভীষণ প্রভুভক্ত প্রাণি; বিধায় কুকুর হত্যা করাও সম্ভব নয়। এ অবস্থায় জলাতঙ্ক রোগ যাতে না হতে পারে; কুকুরকেও যাতে হত্যা না করতে হয়; তার জন্য কুকুরকে টিকা দেবার মাধ্যমে দেশ থেকে জলাতঙ্ক সমস্যা একেবারে নির্মূল করা সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেইট খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘জলাতঙ্ক রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম’ এর উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।
এ কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ১২ লাখ আটত্রিশ হাজার কুকুরকে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক টিকা প্রদান করা হয়েছে। আগামী ১৪ মে হতে ২০ মে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সকল ওয়ার্ডে ব্যাপকহারে কুকুরের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জলাতঙ্ক রোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ১৬ লাখ কুকুর রয়েছে। এই কুকুরগুলোর মধ্য থেকে শতকরা ১ ভাগ কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। কুকুর ছাড়াও বিড়াল, বেজি, শিয়াল বা বানরের কামড়েও জলাতঙ্ক হতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক এবং প্রখ্যাত লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ডা. উম্মে রুমান সিদ্দিকী, ডেপুটি প্রোগাম ম্যানেজার, জুনোটিক ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা পরিচালক, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডাইরেক্টর, সিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।