দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে শপথ নেওয়ার দাবি বিএনপির দুই এমপির

14

রাজ্যের নীতি ডেস্ক: দলীয় সিদ্ধান্ত মেনেই শপথ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির দুই সংসদ সদস্য এমপি। আজ সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে গিয়ে সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিএনপি দলীয় সাংসদ উকিল আবদুস সাত্তার ও হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন।

শপথ অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের কাছে এমপি আবদুস সাত্তার বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলাপ করে তার সম্মতিতে সংসদে এসে শপথ নিয়েছি।’

আরেক এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলাম। আসলে এ সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে না। জনগণের ভোটে এ সরকার নির্বাচিত হয়নি। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়নি। যে কারণে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচনে যে ফল মানুষ প্রত্যাশা করেছিল, তা পায়নি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা শপথ নিয়েছি। ভোট চুরির মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। চুরি করে ক্ষমতায় আসার জন্য সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। এটিকে ঠিক করার দায়িত্ব সরকারের। কীভাবে জনগণের প্রতিনিধির মাধ্যমের সরকার গঠন করা যায় সে দায়িত্ব সরকারের।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিশেষ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, নিম্ন আদালতের ফরমায়েশি রায়ে তাঁকে কারাগারে রাখা হয়েছে। অথচ দেশের ফাঁসির আসামি, মাদকের আসামির মতো জঘন্য আসামিরা জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই আমরা আশা করব সরকার অবিলম্ব খালেদা জিয়াকে জামিনে মুক্তি দেবে এবং তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করবে।’

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সম্মতি থাকলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিতে আসেননি কেন, এ প্রশ্নের জবাবে হারুনুর রশীদ বলেন, ‘মহাসচিবের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। এ বিষয়ে তাকেই জিজ্ঞেস করেন, তিনি ভালো বলতে পারবেন।’

গত শুক্রবার দলের নির্বাচিতদের ওপর শপথ নেওয়ার বিষয়ে সরকারের চাপ আছে কি না, প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নিঃসন্দেহে চাপ আছে। যে সরকারই আসুক, এই ধরনের সরকার যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয় না, তাদেরকে এই ধরনের ভিন্ন অগণতান্ত্রিক কৌশল নিতে হয় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য।’

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এবার মাত্র ছয়টি আসনে জয় লাভ করে। আর এ নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে দলটি। তাই তাদের নির্বাচিতদের শপথ না নেওয়ার বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নেন।